BLOGGER TEMPLATES AND TWITTER BACKGROUNDS

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০০৯

কয়েক সহস্রক ধরে চিরন্তন গল্প : কেউ দেয়, কেউ পায়

সুফিয়ান একটি লেখা লিখেছেন এক নারীর চোখের জল নিয়ে। লেখাটির নাম –
চোখের জল কিংবা পানি সে তো নোনতাই থেকে যায়"। একটি মেয়ের জীবনের তিনটি পর্বের কাহিনী এটি। একটি নরকে চলে যাবার পর্ব, মাঝেরটি নরকে বাস করার, অন্যটি ফিরে আসার। কাহিনীটি হোলো -

বাংলাদেশ পর্ব

মেয়েটার নাম লাবনী। ঢাকায় থাকে। বেশ সুন্দরী। ম্যাট্রিক পাশ করতে না করতেই একের পর এক বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। প্রথম দিকে খুব একটা পাত্তা দেয় না পরিবার। কিন্তু ইন্টারমিডিয়েট পাশ করতে না করতেই একটা ভালো প্রস্তাব আসে…. ছেলে আমেরিকায় থাকে, সেখানে নাকি বড় ব্যবসা আছে। কদিনের জন্য ঢাকায় এসেছে। এবার আর পরিবার থেকে কোন দ্বিমত আসে না। মেয়ের এখনই বিয়ের কোন ইচ্ছা নেই। কিন্তু মেয়েটির পরিবার এই ছেলে ছাড়তে রাজী না।

সুতরাং বিয়ে হয়ে গেল। ছেলে দুদিন পরেই আমেরিকায় চলে যায়। কথা ছিল আমেরিকায় গিয়ে মেয়েটার জন্য টিকিট পাঠাবে। মেয়েটাও দিন গুনতে থাকে …… দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়…. কিন্তু টিকিট আর আসে না। শ্বশুড়বাড়ী থেকেও কোন যোগাযোগ নেই। মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়…. আশ্বাস আসে কিন্তু টিকিট আর আসে না।

এভাবে দুইবছর পার হয়ে গেল। মেয়েটির পরিবারের উপলব্ধি হল…. জামাই বেচারা বোধহয় একটু অসুবিধায় আছে। লজ্জায় বলতে পারছে না। এবার মেয়েটার পরিবারই উদ্যোগ নেয়। টিকিট কেটে সাথে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে মেয়েটাকে পাঠিয়ে দেয় আমেরিকায়। চোখে নতুন স্বপ্ন নিয়ে অবশেষে প্লেনে উঠল লাবনী।

আমেরিকা পর্ব

এয়ারপোর্টে নেমেই স্বপ্ন ফিকে হতে শুরু করে। না, স্বামী রিসিভ করতে আসেনি। কোন লোকও পাঠায় নি। অবশেষে এক সহৃদয় বাঙালী এগিয়ে আসে। ঠিকানা খুজে তুলে দিয়ে আসে স্বামীর হাতে। স্ত্রীকে পেয়ে যার পরনাই খুশী স্বামী। স্বামীর খুশির কারণ জানতে বেশী সময় লাগল না। স্বামী আমেরিকায় একটি ব্রথেলের মালিক। সুতরাং খুশী হবার যথেষ্ঠ কারন আছে। শুরু হল স্বামীর ব্রথেলে নতুন জীবন…..

তিন বছর পর লাস ভেগাসের এক পর্ণ ব্যবসায়ী চড়া দামে কিনে নিল লাবনীকে। দক্ষিন এশিয় ব্রাউন চামড়া… যে কোন দামে কিনতে প্রস্তুত আমেরিকার পর্ণ ব্যবসায়ীরা। ওয়েব সাইটে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে গেল লাবনীর ছবি। অল্প সময়েই বেশ নাম করে ফেলল লাবনী। এখানেও কেটে গেল কয়েক বছর। এর পর ধারাবাহিক ভাবে হাত বদল হতে থাকল লাস ভেগাসের পর্ণ ব্যবসায়ী নিকট।

ইতোমধ্যে কিছু মানবাধিকার সংস্থার এগিয়ে আসে লাবনীর ব্যাপারে। অবশেষে এক এনজিওর সহায়তায় আমেরিকা থেকে দেশে পালিয়ে আসে লাবনী।

আবার নিজ দেশে:


দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঢাকায় পা ফেলল লাবনী। সেই চির চেনা ঢাকা। লাবনীর পরিবার জানে সে আমেরিকায় ভালই আছে। কদিনের জন্য বেড়াতে এসেছে। কিন্তু লাবনী আর স্বপ্ন ভঙ্গের দেশে যাবে না। আসার সময় কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে আসতে পেরেছিল। তাই দিয়েই আবার নতুন করে বাচাঁর স্বপ্ন দেখে।

** এই লেখায় শুধু লাবনী নামটাই কাল্পনিক

আমি লেখাটির জন্য মন থেকে কৃতজ্ঞ সুফিয়ানের প্রতি। আমি লেখাটির পিঠে লিখেছিলাম আমার মন্তব্য। নিচে তা তুলে দিলাম, এই কামনায় – যুগ যুগ ধরে নরকে বাস করতে থাকা নারীরা যেন সবাই ফিরে আসে তাদের নিজের মাঝে।

মেয়েটির ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনো গুরুত্ব দেবার কোনো গুরুত্ব বোধ করেনি তার পরিবার।
সন্তান ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ভার্সিটিতে পড়বে, পড়া শেষ করে ডক্টরেট করবে, ভালো একটা পেশা বেছে নেবে, এমন স্বপ্ন থাকে বাবা-মার, কিন্তু তা শুধু ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে, মেয়ে হলে বাবা-মার তো দূরে থাক, মেয়েটিরই কোনো স্বপ্ন থাকে না।

আসলে আমাদের সমাজে মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়া যে কোনো মেয়ের জন্যই আজন্ম পাপ।
তার জীবন চলে পুরুষের ওপর ভর দিয়ে, তার নামের ওপর বসে পড়ে পতিদেবতার নাম, তার দেহের ওপর “চাষ” করে সেই কৃষকদেব, উৎপন্ন হয় মানবফসল। সন্তান পুরুষ-নারী দুজনেরই স্বপ্ন, কিন্তু সেই স্বপ্নই নারীর জন্য হয় দুঃস্বপ্ন, যদি সন্তান হয় কন্যা। কন্যা সন্তানের স্বপ্নও কেউ দেখে না। কেউ ভাবে না তার একটি মেধাবী কন্যা হবে,যে একদিন নোবেল অবধি পাবে। আশার কথা এই যে আজকাল কন্যা হলে অনেকেই নিজের নিয়তিকে মেনে নেয়। এই আশাই আমাদের হাতের পাঁচ। অন্ততঃ কন্যার মা হবার অপরাধে কাউকে বিষ খেতে হয় না। এখনও লোকে বিশ্বাস করে ছেলে হলো বংশের প্রদীপ। কথাটা যখনই ভাবতে যাই, তখনই একটা কথা মনে আসে – মেয়েরা কি তাহলে বংশের অন্ধকার?

অন্ধকারই তো। মেয়ে তো চলে যাবে পরের ঘরে। ছেলে সন্তান দেখবে বাবা-মাকে।
মেয়ে খাবে স্বামীরটা, ছেলে খাবেও নিজেরটা, খাওয়াবেও নিজেরটা। মেয়ে যদি আদৌ কখনো খাওয়ায়, তাও তার স্বামীর খাবার। মেয়ে মা হবে, বাচ্চা দেবে তার স্বামীকে, আর ছেলে বাবা হবে, তাকে বাচ্চা দেবে তার স্ত্রী। কেউ পায়, কেউ দেয়।

এই “কেউ পায়, কেউ দেয়” নীতি আমাদের সমাজে সর্বজনস্বীকৃত ও সর্বজনগৃহীত একটি অনৈতিক নীতি। কোনো ঈশ্বর এই সমাজ সৃষ্টি করেনি, করেছে মানুষ। মানুষ তার মনগড়া কিছু নীতি তৈরী করেছে। সেই মানুষই সেসব ভেঙেছে। প্রকৃতির কাছে এসব অনৈতিক, প্রকৃতি সবাইকে দেয়। মানুষ এই প্রকৃতির সৃষ্টি, অথচ সে প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলে না, নিজের মত নিয়ম বানায়। সেই নিয়ম সমাজ তৈরী করে, সেই সমাজও নিয়ম তৈরী করে। কোনো নিয়মই সবাইকে সমান দেয় না, নিয়ম তৈরীই হয় নিয়ম যারা ভাঙে, যারা পান থেকে খসায় সংস্কারের চুন, তারা যাতে তা আর না খসায়, তার জন্য। তারা আবার খসালেই নিয়ম-চুনেরা খেপে যায়, তৈরী করে আরেকটি নিয়ম।
এভাবেই নিয়ম বাড়তে থাকে, নিয়মের বৃত্ত-পরিধি বাড়ে, জীবনের বৃত্ত-পরিধি কমে। কিন্তু সেও তো স্বাধীন মানুষের জীবন-বৃত্ত, যাদের জীবন-বৃত্তের পরিধি আঁকা হয়েছে তাদের ঘরকে কেন্দ্রবিন্দু করে সমাজ-কম্পাস দিয়ে, তাদের তো সেই একটাই নিয়ম, সংসারের নিয়মগুলো নিষ্ঠা দিয়ে পালন করা। তাদের জীবনে আর কিছুই করার নেই। কতশত নারী সারাজীবন সংসার ছাড়া আর কোনো কাজই করে না, তা হিসেব করা যায় না। হিসেব করা যায় ক’জন নারী সংসার বাদ দিয়েও অন্য কোনো কাজ করে। আর কত নারী সংসার কাজটিই করে না, তা হিসেব করা নিষ্প্রয়োজন। অনুমান করে একটা সংখ্যা বলে দেয়া সম্ভব, যা সঠিক হবার সম্ভাবনা ৮০%।



মনুসংহিতায় আছে-
“পিতা রক্ষতি কৌমারে, ভর্তা রক্ষতি যৌবনে,
রক্ষন্তি স্হবিরে পুত্রা, ন স্ত্রী স্বাতন্ত্রমর্হতি।”

হিন্দুধর্ম দীর্ঘজীবী ধর্মগুলোর মাঝে সবচেয়ে প্রাচীন বলেই কিনা জানিনা, এই নিয়মটি সব ধর্মেই মানা হয়, যেমন মানা হয় ঈশ্বরের উপাসনার নিয়মটি। আর তেমন কোনো নিয়ম মনে হয় ধর্মগুলোর নেই, যা সবক’টিতেই পাওয়া যায়। ধর্ম আর পুরুষতন্ত্র দুটোরই সমান বয়স, দুটোই একবার জন্ম নিলে বাঁচে অনেকদিন।



সেই পুরুষতন্ত্রের চাহিদার জন্যই তৈরী হয় পতিতার চাহিদা, নারীতন্ত্র থাকলে তৈরী হত তসলিমা নাসরিনের বলা সেই পতিতর চাহিদা। অনেক পতিতলয় গড়ে উঠতো, পতিতালয় থাকতো শুধু সমকামী নারীদের জন্য, ঠিক যেমন পুরুষ পতিতা (তাদের পুরুষ পতিতাই বলা হয়, পতিত নয়) আছে শুধু সমকামী পুরুষদের জন্য , নারীরা তাদের ব্যবহার করে না।

সাম্যতন্ত্র বলে কোনো কিছু নেই, তেমন কোনো তন্ত্র থাকলে সমাজের শাসনভার ঈশ্বরের ওপর ছেড়ে দিতে হতো, যা অসম্ভব। ঈশ্বর সমাজ শাসন দূরে থাক, মানুষকে দর্শনও দেন না, শুধু মহামানুষদের ছাড়া। আমাদের আর পুরুষতন্ত্র নয়, দরকার নারীতন্ত্র, কিন্তু কখনোই মাতৃতন্ত্র নয়। কারণ মাতৃতন্ত্র পুরুষতন্ত্রের থেকেও খারাপ। পুরুষতন্ত্রেও তো নারী সম্পত্তি পায় কখনো কখনো। কিন্তু মাতৃতন্ত্র থাকলে যদি এমন হয়, কোনো নিঃসন্তান নারী মারা যায়, তাহলে তো তার সম্পত্তি সাত ভূতে লুটে পুটে খাবে। কোনো নারীই মা হবার জন্য জন্মায়নি, ওর চেয়ে জরুরী অনেক কাজ তার আছে। যেমন বাবা হবার চেয়ে ঢের জরুরী অনেক কাজ পুরুষের আছে। পার্থক্যটা শুধু পুরুষ অবাধে সেসব কাজ করতে পারে, নারী পারে না। সমাজ হাজারটা গতিরোধক নারীর সামনে তৈরী করে। আসলে আমাদের দরকার এখন বেগম রোকেয়ার বলা সেই নারীস্হান। নারীস্হান তৈরী হলে সেখানে কোনো মেয়েকে ধরে বেঁধে বিয়ে দিয়ে স্বামীর ঘর করতে বিদেশ বিভূমে পাঠানো যাবে না। পুরুষতন্ত্রে কি কখনো ভাবা যায় কলেজ শেষ না হতেই কোনো পুরুষকে বিয়ে দিয়ে স্ত্রীর ঘর করতে পাঠানো হচ্ছে? “স্ত্রীর ঘর” নামক কোনো বস্তুই নেই। আমরা যে এত বড়াই করি সাম্য নিয়ে, সেই সাম্য যেসব দেশে আছে সেখানেও স্বামীর ঘর আছে, স্ত্রীর ঘর কোথাও নেই। ঘর বলতে যে সংসারতন্ত্রের দেশটি বোঝায়, যার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সবই পুরুষ, তেমন কিছু দূরে থাক, নারীর কোনো নিজস্ব কামরাই নেই, এখনও “অ্যা রুম আফ ওমান্স ঔন” শুধুই কোনো এক ভার্জিনিয়া উল্ফের স্বপ্ন, এবং কাগজে লেখা অঙ্গে না দেয়া অঙ্গীকার। নেই তার বাপের বাড়িতেও, স্বামীর বাড়িতেও, পুত্রের বাড়িতেও। নারীর এইসব রক্ষকরা তৈরী হয়েছে নারীকে ভুলিয়ে দেয়ার জন্য যে সেও মানুষ, একা একাও সে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। বাপ, স্বামী, পুত্র -এইসব রক্ষকদের রক্ষা করার জন্য নারীর চাহিদা থেকেই তৈরী হয়েছে মা, স্ত্রী ও কন্যা, যারা সবাই ঐসব রক্ষকদের রক্ষিতা। নারীকে মনে করতে হবে আদিম সমাজের কথা, যেখানে নর বলে কোনো শব্দ বা সেই শব্দের উপাঙ্গ হিসেবে নারী নামে কোনো শব্দ তৈরী হয় নি। যখন হয়নি, তখন কোনো জানোয়ার কোনো নারীকে আক্রমণ করলে কোনো পুরুষ ছুটে আসতো না, নারী নিজেই সেই জানোয়ারকে বধ করে নিজেকে রক্ষা করতো। আর এই সুসভ্য সমাজে নারী পুরুষ-জানোয়ারগুলোর হাত থেকেই নিজেকে রক্ষা করতে পারে না। সিনেমায় আমরা দেখি নায়িকা ধর্ষিত হচ্ছে, অথচ সে ধর্ষককে হত্যা করার কোনো চেষ্টা করছে না, সে চেষ্টা করছে কেবল ধর্ষকের দেহপাশ থেকে নিজের দেহ ছাড়াতে, আর সেই সাথে চিৎকার করছে “বাঁচাও বাঁচাও” বলে। যেন সে নিজেকে বাঁচাতে পারে না, তাকে বাঁচাতে দরকার কোন পুরুষের, খুব সম্ভবত নায়কের। না হলে সেও যেমন বাঁচবে না, নায়কও তেমন নায়ক হতে পারব না। তাই তাকে ঐরকম বাঁচতে না পারার অক্ষমতাটুকুর অভিনয়টা করতেই হয় বাধ্য হয়ে। বাস্তবেও সব নারীই এই অভিনয়টুকু করে, শুধু দু’মিনিটের ধর্ষণের দৃশ্যে নয়, সারাজীবন ধরেই। না হলে সে একাই বাঁচতে পারবে, আর পুরুষও পুরুষ হতে পারবে না, স্ত্রৈণ হয়ে যাবে, হয়ে যাবে তৃতীয় লিঙ্গ। তাই দ্বিতীয় লিঙ্গটি অভিনয় করতে থাকে নিপুনভাবে, যেন প্রথম লিঙ্গটি প্রথম লিঙ্গই হয়, তৃতীয় লিঙ্গ না হয়ে যায়। নারীকে বুঝতে হবে এটা শুধুই অভিনয়। এটা করে জীবন নষ্ট করার কোনো মানে নেই, কারণ জীবন অভিনয়ের মঞ্চ নয়, বাস্তবের স্হান। অভিনয় বাদ দিয়ে নারীকে স্বাভাবিক হতে হবে, সে কারণেই তাকে স্বাধীন হতে হবে। কারণ পরাধীন মানুষ কখনোই স্বাভাবিক নয়। সে অস্বাভাবিক। সমাজ ভাবে নারী অস্বাভাবিক, নারী অস্বাভাবিক থাকতে না চাইলে তাকে স্বাধীন হতে হবে। যে দু’ইঞ্চি অহং নিয়ে পুরুষের শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার, তা না থাকলেই কেউ অনুৎকৃষ্ট বা নিকৃষ্ট হয়ে যায় না। নারীকে কোনো ধর্ম যতই বলুক সে নারীকে সর্বোচ্চ অধিকার দিয়েছে, নারী শুনবে না। যতই বিশ্বাস করাতে চাক সে নারীকে সর্বোচ্চ অধিকার দিয়েছে, নারী বিশ্বাস করবে না। নারী কোনো “দিয়ে দেয়া অধিকার” নিয়েও বাঁচবে না, সে দরকার হলে অধিকার হরণ করে বাঁচবে। তবুও নিজের মত বাঁচবে। নারী বাঁচুক, মানুষ বাঁচুক, পুরুষও বাঁচুক, শুধু তার তন্ত্রটি মরুক। না হলে মানবতা জন্ম নেবে না। অনাগত মানবতার জন্য রইলো জীবনের পাগলা সানাইয়ের সুর আর গান।


১৭ জুলাই ২০০৯ তারিখে প্রথম লেখা ও আমারব্লগে প্রথম প্রকাশ